মার্কেটিং বিভাগ সম্পর্কে
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ‘মার্কেটিং’ যুগোপযোগী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে তৎকালীন বাণিজ্য অনুষদে প্রথম পর্যায়ে ‘হিসাববিজ্ঞান’ এবং ২য় পর্যায়ে ‘ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায় শিক্ষার ব্যাপক প্রসার এবং সময়ের ব্যবধান ও প্রয়োজনের তাগিদে ‘মার্কেটিং’ বিষয়ে অনার্স কোর্স প্রবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়। ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘মার্কেটিং’ এবং ‘ফিন্যান্স’ বিষয়ে অনার্স প্রবর্তনের অনুমোদন পাওয়ায় এ কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পূর্ণতা পায়।
২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ মহোদয় মার্কেটিং ও ফিন্যান্স বিষয়ে অনার্স কোর্স প্রবর্তনের জন্য প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনা ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতা ও কলেজ প্রশাসনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ দুটি বিষয়ে অনার্স কোর্স প্রবর্তনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা হয়।
এক নজরে মার্কেটিং বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর তথ্যাবলি:
# কলেজ কর্তৃক আবেদন প্রেরণ- ০৬/০৮/২০১৭
# শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন- ০৬/০৯/২০১৭
# শিক্ষকগণের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে মাউশি’র অফিস আদেশ- ০৭/১১/২০১৭
# জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদন- ০৮/১১/২০১৭
# মার্কেটিং বিভাগে অনার্স ভর্তির কার্যক্রম শুরু- ১৫/১১/২০১৭
২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় ভর্তি প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে মোট ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পায় এবং ৪৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে মার্কেটিং বিভাগের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ আলতাফ হোসেনকে (বর্তমানে সহযোগী অধাপক) বিভাগীয় প্রধান এবং অত্র বিভাগের আরও তিনজন সম্মানিত শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে মাউশি কর্তৃক অফিস আদেশ করা হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭ বছর ব্যবস্থাপনা বিভাগ হতে মার্কেটিং বিভাগের সমূদয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এরপর মার্কেটিং এর প্রতিষ্টাতা বিভাগীয় প্রধানের একান্ত প্রচেষ্টা এবং কলেজ প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় ২০২৩ সালের ১৮ জুন অত্র বিভাগের পৃথক অফিস কক্ষ, সেমিনার কক্ষ, ও শ্রেণিকক্ষ নিয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এ বিভাগ সফলতার সাথে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং বর্তমানে ৭ম ব্যাচ চলমান আছে। ইতোমধ্যে ২টি ব্যাচ সন্তোষজনক ফলাফলের মাধ্যমে সফলভাবে গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে উচ্চ শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে আত্মনিয়োগের সুযোগ লাভ করেছে।